ইউপি চেয়ারম্যানের ইটভাটায় গৃহবধূ ধর্ষণ Latest Update News of Bangladesh

বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




ইউপি চেয়ারম্যানের ইটভাটায় গৃহবধূ ধর্ষণ

ইউপি চেয়ারম্যানের ইটভাটায় গৃহবধূ ধর্ষণ

ইউপি চেয়ারম্যানের ইটভাটায় গৃহবধূ ধর্ষণ




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ ঢাকার ধামরাই উপজেলায় এক ইউপি চেয়ারম্যানের ইটভাটায় গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার ওই নারী বর্তমানে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

 

 

মামলা করলে নির্যাতিতাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে ধর্ষণে অভিযুক্ত জিন্নত আলী ও তার বাবা নান্নু মিয়া। ফলে থানায় মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না ওই নারী। তার গর্ভে থাকা সন্তানের পিতৃ পরিচয় কি হবে, তা নিয়ে রয়েছেন শঙ্কায়।

 

 

উপজেলার শাসন গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে জিন্নত আলী। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে ধামরাই থানায়। এলাকাবাসী জিন্নত আলী ও তার বাবা নান্নু মিয়ার বিচার দাবি করেছেন।

 

 

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ওই নারী তিন কন্যা সন্তানের মা। গত দুই বছর আগে স্বামী খুন হয়। স্বামী খুন হওয়ার পর থেকে তিন সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়ে যায় তিনি। সংসারে চরম অর্থাভাব দেখা দেয়। এ কারণে তিনি কাজ নেন আমতা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেনের ‘এফ টু এফ’ নামের ইটভাটায়।

 

 

আরও জানা যায়, চেয়ারম্যানের সেই ইটভাটায় মাঝে মধ্যে যাতায়াত করতো জিন্নত আলী নামের ওই ব্যক্তি। একদিন দুপুরবেলা ওই নারীকে ঘরের ভেতর একা পেয়ে জোরপূবক ধর্ষণ করে জিন্নত আলী। এ সময় চিৎকার করলে জিন্নত আলী তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখায়। ওই নারী চিন্তা করেন তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে, যদি তাকেও হত্যা করা হয় তাহলে তিনটি সন্তান না খেয়ে মারা যাবে।

 

 

সন্তানের কথা চিন্তা করে ধর্ষণের ঘটনা চেপে যায়ন তিনি। পাঁচ মাস পর তার শরীরের পরিবর্তন দেখে তিনি চিকিৎসকের কাছে যান। চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা দিলে রির্পোটে অন্তঃসত্ত্বা বলে জানতে পারেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পরলে লজ্জায় কাজে যাওয়া বন্ধ করে দেন তিনি। তিন মেয়ে নিয়ে কোনরকমে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন তিনি।

 

 

জানা যায়, একদিকে সংসারে অভাব, অন্যদিকে জিন্নত আলী ও তার বাবা নান্নু মিয়া প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে। আন্তজেলা ডাকাতদলের একজন সক্রিয় সদস্য জিন্নত আলী। ধামরাই থানায় হত্যা ও ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে জিন্নত আলীর নামে। তার বাবা নান্নু মিয়ার বিরুদ্ধে ২০ বছর আগে তার ভাগ্নে সেলিমের বউকে হত্যা করার অভিযোগও রয়েছে। ওই মামলায় কয়েক বছর জেলহাজতে ছিল নান্নু মিয়া। যার কারণে মামলা করতে ভয় পাচ্ছে ওই নারী।

 

 

নির্যাতনের শিকার ওই নারী বলেন, চেয়ারম্যান আবুল হোসেনের ইটভাটার একটি ঘরে তাকে ধর্ষণ করে জিন্নত আলী। এ ঘটনা বলে দিলে আমাকে মেরে ফেলবে এমন হুমকি দিত জিন্নত। তাই আমি কাউকে কিছু জানাইনি এবং থানায় মামলা করিনি।

 

 

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে জিন্নত ও তার বাবা নান্নু মিয়া হুমকি দিচ্ছে। তারা আমাকে সন্তাান নষ্ট করতে চাপ দিচ্ছে। জিন্নত তার ওপর যে অন্যায় করেছে, তার বিচার চান তিনি। তার গর্ভের সন্তানের পরিচয় চান।

 

 

এ ব্যাপারে আমতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, তার ইটভাটায় ধর্ষণ হয়েছে তা কেউ তাকে জানায়নি।

 

 

ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ দিপক চন্দ্র সাহা বলেন, এ বিষয়ে থানায় মামলা দিলে মামলা নেয়া হবে। মামলার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনভাবেই এমন খারাপ লোককে ছাড় দেয়া হবে না।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD